জেনারেটিভ এআইয়ের অর্থনীতিতে অন্যান্য যে কোনো উন্নত রাষ্ট্রের চেয়ে বেশি সম্ভাবনা দেখাচ্ছে যুক্তরাজ্য, এমনই উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
গবেষণা বলছে, অটোমেশনে যতো দ্রুত উন্নয়ন ঘটেছে, জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তির সম্ভাবনা তার চেয়েও বেশি এবং এ বিষয়ে দেশটির এখনই পদক্ষেপ নেওয়া সময়ের দাবি।
এ প্রযুক্তির সহায়তায় সামনের ১৫ বছরে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে প্রায় দ্বিগুণ পর্যন্ত। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র’সহ জি৭ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যেও সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা দেখাচ্ছে দেশটি।
পরামর্শক সেবাদাতা অ্যাক্সেঞ্চার-এর অনুমান বলছে, পাবলিক সেক্টরে এ যুগান্তকারী প্রযুক্তির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, যেখানে একজন ডাক্তার সপ্তাহে নিজের পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় বাঁচাতে পারেন।
অ্যাক্সেঞ্চারের পূর্বাভাস বলছে, ২০২৩ সাল থেকে ২০৩৮ সালে দেশটির গড় জিডিপি এক দশমিক ছয় শতাংশ থেকে তিন শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
অ্যাক্সেঞ্চার আরও বলেছে, তারা হাজার হাজার কাজের বিস্তারিত বিশ্লেষণ করেছে ও অটোমেশন বা অগমেন্টেশন (মানুষের কাজ প্রযুক্তির সঙ্গে সমন্বিত করার) প্রক্রিয়া থেকে কতটা সময় বাঁচানো সম্ভব, সে বিষয়টি হিসাব করে দেখেছে।
অ্যাক্সেঞ্চার-এর যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড ও আফ্রিকা অঞ্চলের প্রধান শাহিন সাইয়িদ বলেছেন, উৎপাদনশীল এআই প্রযুক্তি যুক্তরাজ্যের দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতা মোকাবেলার এক বিশাল সুযোগ, তবে এ প্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে স্বল্পমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি থাকায় দেশটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এরইমধ্যে পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকিতে আছে।
অটোমেশন ব্যবস্থারই একটি উন্নত রূপ জেনারেটিভ এআই, যেখানে বিভিন্ন মেশিন বিশাল এক ডেটাসেটের ওপর ভিত্তি করে একেবারে নতুন কিছু তৈরি করতে পারে।