একটা বয়সে পৌঁছানোর পর বিয়ে না করা পর্যন্ত এ দেশে প্রায় সবাইকে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়-‘বিয়ে কবে করছ?’ আপনি ‘সেলিব্রিটি’ হোন কিংবা ‘আমজনতা’, এ প্রশ্ন ‘কমন’ পড়বেই। বিয়ে মানে তো জীবনের এক নতুন অধ্যায়। এই অধ্যায় শুরু হওয়ার জন্য কিন্তু কেবল ‘বয়স’ হলেই চলে না, সবদিক থেকে নিজেকে ‘প্রস্তুত’ করে নিতে হয়।
ধরে নেওয়া যাক, আপনার বিয়ের বয়স হয়েছে। পরিবার থেকে বিয়ের কথা বলছে, আর্থিক দিক থেকেও কোনো বাধা নেই। আপনি কি বিয়ের জন্য প্রস্তুত? নিজেকে যাচাই করে নিন আজ এই আট প্রশ্নে।
প্রতিটি প্রশ্নের জন্য রয়েছে চারটি উত্তর। ‘ক’ উত্তরের জন্য পাবেন ৫ নম্বর, ‘খ’ উত্তরের জন্য ৪ নম্বর, ‘গ’ উত্তরের জন্য ৩ এবং ‘ঘ’ উত্তরের জন্য ২। সব শেষে মিলিয়ে নিন ফলাফল।
১. আপনার কাছে বিয়ের অর্থ কী?
ক. যেকোনো পরিস্থিতিতে একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকার
খ. জীবনের প্রয়োজনে একজন সঙ্গীর সঙ্গে পথচলা
গ. দারুণ রোমান্টিক ব্যাপার
ঘ. জীবনে একটা বাড়তি ঝামেলা
২. কাছের মানুষদের কারও সঙ্গে মতের অমিল হলে আপনি কী করেন?
ক. বিষয়টি নিয়ে ঠান্ডা মাথায় তাঁর সঙ্গে কথা বলেন
খ. রাগারাগি, চিৎকার-চেঁচামেচি করেন
গ. কোনো না কোনো সময় বিষয়টি নিয়ে তাঁকে খোঁচা মেরে কথা বলেন
ঘ. তাঁকে এড়িয়ে চলেন
৩. যাঁদের সঙ্গে আপনি বেড়ে ওঠেননি, এমন মানুষদের সঙ্গে একই জায়গায় থাকার ব্যাপারে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?
ক. দারুণ
খ. ভালো
গ. মোটামুটি
ঘ. ভীষণ কষ্টকর
৪. বিয়ের পর আর্থিক ব্যাপারগুলো কীভাবে গুছিয়ে নেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
ক. যাঁর রোজগার যেমনই হোক, সম্মিলিতভাবে পরিকল্পনা করে বিষয়গুলো সামলে নেওয়া উচিত
খ. দুজনের মধ্যে যাঁর রোজগার বেশি, তাঁরই বেশি দায়িত্ব নেওয়া উচিত
গ. কে কোন খরচটা দেবে, পরিস্থিতি অনুযায়ী সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত
ঘ. নিজ নিজ খরচে চলা উচিত
৫. সাংসারিক কাজের ব্যাপারে আপনি কী ভাবেন?
ক. দুজনে মিলেমিশে সব কাজ করবেন
খ. এত দায়িত্ব না নিলেও ক্ষতি নেই, ঘরের কাজের সহকারী রেখে নিলেই চলবে
গ. যাঁর সঙ্গে আপনার বিয়ে হবে, এগুলো তিনিই দেখবেন
ঘ. বাজার করা বা রান্না করার মতো কাজের জন্য আপনার জন্ম হয়নি
সংসারের কাজগুলো কি দুজন ভাগাভাগি করে নিতে চান?
সংসারের কাজগুলো কি দুজন ভাগাভাগি করে নিতে চান?
৬. পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আপনি কী করেন?
ক. সবার সঙ্গে আলোচনা করেন এবং সবার চাহিদার দিকে খেয়াল রাখেন
খ. সবার কথা শোনেন, কিন্তু নির্দিষ্ট কারও কথায় বেশি গুরুত্ব দেন
গ. নিজে যা ভালো বোঝেন, সেটাই করেন
ঘ. আপনি এসবের মধ্যেই থাকেন না
৭. জীবনে যখন অফুরন্ত অবসর আসবে, সেই সময়টা কীভাবে কাটাতে চান?
ক. জীবনসঙ্গীর সঙ্গে
খ. পরিবারের অন্যদের সঙ্গে
গ. বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে আড্ডা দিয়ে
ঘ. একা, নিজের মতো
৮. ‘শ্বশুরবাড়ি’ সম্পর্কে আপনি কী ভাবেন?
ক. পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে
খ. সেখানে আপনাকে অনেক বেশি দায়িত্ব নিতে হবে
গ. সবাই আপনাকে অনেক ভালোবাসবে
ঘ. অবধারিতভাবেই তাঁদের সঙ্গে খিটিমিটি লেগে থাকবে
ফলাফল
আপনার প্রাপ্ত মোট নম্বর যদি ৩১ থেকে ৪০-এর মধ্যে হয়, তাহলে ধরে নেওয়া যায় আপনি বিয়ের জন্য প্রস্তুত।
নম্বর যদি ২৬-৩০-এর মধ্যে হয়, তাহলেও আপনার কিছুটা প্রস্তুতি আছে বলা যেতে পারে। তবে ভাবনাগুলোকে আরেকটু গুছিয়ে নিলে বিয়ের পরের জীবনটাও আরেকটু সহজ হয়ে উঠবে আপনার জন্য।
আপনার মোট নম্বর যদি হয় ২১ থেকে ২৫-এর মধ্যে, তাহলে সম্ভবত আপনি বিয়ে করতে আগ্রহী হলেও এখনো ঠিক প্রস্তুত নন। জীবন সম্পর্কে আরেকটু বাস্তব ভাবনা চর্চার প্রয়োজন আছে। সে ক্ষেত্রে আপনি আরেকটু সময় নিতে পারেন।
নম্বর যদি হয় ২০-এর কম, তাহলে সম্ভবত আপনি এখনো প্রস্তুত নন। তাই বলে আপনার বিয়ে করার সময় হয়নি-এমন সোজাসাপটা উপসংহার টানা ভুল হবে। আপাতত আপনি আত্মোন্নয়নে আরও মনোযোগী হতে পারেন।
লেখা: রাফিয়া আলম