বিডিকলিংয়ের মাধ্যমে বেকারত্ব ঘুচিয়ে স্বনির্ভরতার পথে ২ হাজার শিক্ষার্থী

প্রকাশ: রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫
https://mail.techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png টেকভয়েস২৪ রিপোর্ট
https://mail.techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত
তথ্য প্রযুক্তির এই বিশ্বায়নের যুগেও দেশে ক্রমাগত বাড়ছে বেকারত্বের বোঝা। তবে ক্রমবর্ধমান এই বেকারত্বের বোঝাকে জনশক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে এক বছরে (২০২৪ সালে) প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে আইটি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করেছে বিডিকলিং একাডেমি। এমনকি এসব শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ২ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির মাধ্যমে নিজেদের বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিডিকলিং একাডেমির অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) রনি সাহা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্বায়নের কথা চিন্তা করে তরুণ-তরুণীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে বিডিকলিং একাডেমি। গত এক বছরে (২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত) দুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থীকে আইটি খাতের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে ২০৩৫ জন শিক্ষার্থী দক্ষতা অর্জনের পর বিডিকলিংসহ বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়েছেন। এমনকি প্রশিক্ষণ পাওয়া এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীকে শতভাগ স্কলারশীপের (বিনামূল্যে) মাধ্যমে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ দিয়েছে বিডিকলিং একাডেমি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ৭২০ জন, ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্টে ৫৫৬ জন, গ্রাফিক্স ডিজাইনে ৬৫০ জন, লিড জেনারেশন উইথ ডাটা এন্ট্রিতে ৪১৫ জন, ইউআই/ইউক্স ডিজাইনে ৩১৫, ওরাকল ডাটাবেজ বিষয়ে ১৫০ জন রয়েছেন। এছাড়াও মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টে ২০৮ জন, মার্ন স্ট্যাক ডেভেলপমেন্টে ২০৬ জন, ওয়েব ডিজাইনে ৩৬৫ জন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টে ২৬৫ জন ছাড়াও আরও প্রজেক্ট ফিনিক্স (সেলস) বিষয়ে বিশেষ কয়েকটি ব্যাচে আরও সহস্রাধিক শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। প্রশিক্ষণ শেষে চাকরি পাওয়া শিক্ষার্থীরা বিডিকলিং ছাড়াও ম্যাক-টেক সলিউশন্স, ওয়ান আইডিয়া সলিউশন্স, আরটুএ, মাকরাম আইটিসহ বিভিন্ন স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।

এসব বিষয়ে বিডিকলিং একাডেমির এজিএম রনি সাহা বলেন, ২০১৩ সালে ড্রয়িংরুমের একটি মাত্র কম্পিউটারে ব্যক্তিগত ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বিডিকলিং আইটি লিমিটেডের পথচলা শুরু হয়। বর্তমানে বারোশো জনের অধিক কর্মী কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটিতে। এমনকি আগামী কিছুদিনের মধ্যেই আইটি সেক্টরে পাঁচ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা রয়েছে বিডিকলিংয়ের। বিশাল সংখ্যক এই কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন বিডিকলিং একাডেমিতে দক্ষতা অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি আইটি সেক্টরে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর কেউেই আর নিজেকে বেকারত্বের বোঝায় আটকে রাখবেন না। এই সেক্টরে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে বিডিকলিং একাডেমি সর্বোচ্চ সহযোগিতা নিয়ে পাশে সকলের পাশ থাকবে।

প্রসঙ্গত, বিডিকলিং একাডেমি কম্পিউটার টেকনোলজি বিষয়ক ৬০টিও অধিক বিষয়ে দক্ষ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- অ্যাপ ডেভেলপার উইথ ফ্লাটার, মার্ন স্টাক ডেভেলপার, নেটওয়ার্কিং, লিড জেনারেশন উইথ ডাটা এন্ট্রি, অ্যাডভান্স এক্সেল এক্সপার্ট, ভিডিও অ্যান্ড মোশন এডিটর, ওয়ার্ডপ্রেস স্পেশালিস্ট, ইউএক্স/ইউআই ডিজাইনার, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং স্পেশালিস্ট, ওরাকল ডাটাবেইজ, সাইবার সিকিউরিটি।
image

আপনার মতামত দিন