কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি ওপেনএআই-এর অভ্যন্তরীণ মেসেজিং ব্যবস্থা ভেদ করে কোম্পানির এআই প্রযুক্তির নকশা সম্পর্কে বিশদ তথ্য চুরির তথ্য মিলেছে। বৃহস্পতিবার হ্যাকিংয়ের ঘটনা উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস।
কোম্পানির একটি অনলাইন ফোরাম থেকে তথ্য চুরি করেছিল ওই হ্যাকার। ফোরামে ওপেনএআই-এর কর্মীরা সর্বশেষ সব প্রযুক্তি নিয়ে আলাপ করছিলেন বলে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুজনকে উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে, ওপেনএআই যেখানে এআই তৈরি করে, সে ব্যবস্থায় হ্যাকার প্রবেশ করতে পারেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এ প্রসঙ্গে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া দেয়নি সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট সমর্থিত কোম্পানিটি।
প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছরের এপ্রিলের এক বৈঠকে কর্মচারী ও কোম্পানির বোর্ডকে এ ঘটনার বিষয়ে জানিয়েছিলেন ওপেনএআই নির্বাহীরা। তবে, গ্রাহক ও অংশীদারদের কোনও তথ্য চুরি না যাওয়ায় জনসাধারণের কাছে খবরটি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
ওপেনএআই নির্বাহীরা এ ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে বিবেচনা করেননি। তারা মত প্রকাশ করেছিলেন, ওই হ্যাকার একজন ব্যক্তি, যার সঙ্গে বিদেশী সরকারের ও কোনও চক্রের সম্পর্ক নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। পাশাপাশি, কোম্পানিটি হ্যাকিং সম্পর্কে ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকেও জানায়নি।
মে মাসে ওপেনএআই বলেছিল, ইন্টারনেটজুড়ে ‘প্রতারণামূলক’ কাজে তাদের এআই মডেল ব্যবহার হচ্ছে এমন পাঁচটি গোপন কার্যক্রমে বাধা দিয়েছে তারা।
এ ছাড়া, বাইডেন প্রশাসন চ্যাটজিপিটিসহ সবচেয়ে উন্নত এআই মডেলগুলোর চারপাশে বাড়তি নিরাপত্তা যোগ করার পরিকল্পনার পাশাপাশি চীন ও রাশিয়া থেকে মার্কিন এআই প্রযুক্তিকে সুরক্ষিত রাখতে নতুন ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য প্রস্তুত ছিল বলে এর আগে সংশ্লিষ্ট সূত্রকে উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল রয়টার্স।
মে মাসে, এআই নিয়ে কোজ করছে এমন ১৬টি কোম্পানি একটি আন্তর্জাতিক সভায় প্রযুক্তিটি নিরাপদে বিকাশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এমন এক সময়ে তারা এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যখন দ্রুত উদ্ভাবন ও উদীয়মান এ প্রযুক্তি ঝুঁকিগুলোর সঙ্গে তাল মেলাতে বেগ পেতে হচ্ছে নিয়ন্ত্রকদের।