স্মার্টফোনের মধ্যে অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় আইফোনকে বেশি সুরক্ষিত ভাবা হয়। কিছু ক্ষেত্রে বেশি সুরক্ষা দিলেও হ্যাকারদের বিস্তৃতি এখন সব ক্ষেত্রে। অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোন সব ডিভাইসেই প্রবেশে সক্ষম হ্যাকার। বর্তমানে আইওএস ডিভাইসেও ম্যালওয়্যার প্রবেশ করানো হচ্ছে। এরপর ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে।
কিছু উপায় অবলম্বন করলেও আইফোনকে হ্যাকারদের আক্রমণ বা অনধিকার প্রবেশ থেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।
আপ-টু-ডেট বা হালনাগাদ রাখা
আইফোনে যেন ভাইরাস বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রবেশ করতে না পারে, এজন্য সবসময় সফটওয়্যার আপডেট রাখতে হবে। অ্যাপল এজন্য বিভিন্ন আপডেট দিয়ে থাকে। ফোনের সেটিংসে গিয়ে নিয়মিত আইওএস সফটওয়্যার আপডেট করতে হবে।
সন্দেহজনক লিংক এড়িয়ে যাওয়া
কম্পিউটারের মতো আইফোনে কোনো ভুয়া বা সন্দেহজনক লিংক এলে সেটিতে ক্লিক করা যাবে না। এর মাধ্যমে ডিভাইস হ্যাক হওয়া সম্ভব। যেকোনো ওয়েবসাইটে ভিজিট করার আগে এর ইউআরএল, নামের বানান সব ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার
আইক্লাউডে সেলফোনের তথ্য ব্যাকআপ রাখা হলে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। সুরক্ষা স্তর বাড়াতে অ্যাপলের টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন অন রাখতে পারেন।
পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার না করা
পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে। সেটা হোক আপনার অফিসের ওয়াই-ফাই। এছাড়া অন্য কোনো অ্যাডাপ্টার বা চার্জার ব্যবহার করা যাবে না।
ফোনের সফটওয়্যার ডিলিট করা যাবে না
আইফোনের সফটওয়্যার ব্যবহারের সময় বিভিন্ন বিধিনিষেধের কথা জানানো হয়ে থাকে। অন্য কোনো অ্যাপ বা পরিষেবার সুবিধা পেতে সেসব বিধিনিষেধ বন্ধ বা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। এটি করা হলে হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।