দেশের ই-কমার্স খাতের বাণিজ্যিক সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০২৫-২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির ২৬ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করা আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম খলিল উল্লাহ (কাসেম) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
>>আরও পড়ুন: ই-ক্যাব নির্বাচন ২০২৫: ভোট গ্রহণ হবে ২৬ জুলাই
তবে ই-ক্যাব নর্বাচন কমিশন এখনও রায়ের কপি হাতে পায়নি। লিখিত আদেশটি পেতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে জানাগেছে।
রায়ের কপি হাতে না পাওয়ায় ভোটের ভেন্যু নির্বাচন চূড়ান্ত হয়েছে। ই-ক্যাবের অধিকাংশ প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে ভোটের আমেজ দেখা যাচ্ছে।
সূত্রমতে, ভোট দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে একটি নির্বাচিত ধারায় বাণিজ্যিক সংগঠনটির স্থবিরতা কাটানোর পক্ষে প্রায় সকল সদস্যই ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন।
স্থগাতিদেশের পক্ষে বাদী পক্ষের আইনজীবী এ কে এম খলিল উল্লাহ বলেছেন, ‘নির্বাচনে আপিলবোর্ড গঠনের এখতিয়ার মন্ত্রণালয়ের নেই। এটা প্রশাসকের বলে যুক্তি তুলে ধরেছি। আদালত যুক্তিতে সম্মতি দিয়ে ভোট গ্রহণে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।’
গত ২০ জুলাই ই ক্যাবের প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল সেলের উপসচিব মুহাম্মদ সাঈদ আলী দেশের ই-কমার্স খাতের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০২৫-২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। গত ৩১ মে ই-ক্যাব নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মে এক চিঠিতে নির্বাচন স্থগিত করে ই-ক্যাবের নির্বাচন বোর্ড। সে সময় এ বিষয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন সংগঠনের সদস্য ও প্রার্থীরা। এরপর ২৬ জুলাই ই-ক্যাব নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ৩৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ‘টিম ইউনাইটেড’ ও ‘টিম টাইগার’ নামের দুটি প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২২ প্রার্থী।
প্রসঙ্গত, ই-ক্যাব নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৫০২ জন। তবে নির্বাচন স্থগিতের পরে নতুন করে ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও ৩৩৩ জন ভোটার। এর ফলে নির্বাচনে মোট ৮৩৫ জন ভোটার নিজেদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচন করবেন।