পেইড সফটওয়্যার এখন অনেকের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে, কিন্তু কাজ থেমে থাকবে কেন? প্রযুক্তির উন্নয়নে এখন এমন অনেক ফ্রি সফটওয়্যার আছে যেগুলো দিয়েই আপনি প্রফেশনাল মানের কাজ করতে পারেন। এখানে ১৫টি সেরা বিনা মূল্যের সফটওয়্যার, যেগুলো দিয়েই আপনি আগের মতোই দক্ষভাবে কাজ চালাতে পারবেন-একদম খরচ ছাড়াই।
ফটো এডিটিং
জিআইএমপি (GIMP) : ফটোশপের বিকল্প হিসেবে বিনামূল্যে উপভোগ করা যাবে ‘জিআইএমপি’ সফটওয়্যারকে। ওপেন সোর্স এবং ক্লোজ প্ল্যাটফর্ম, যারা সাবসক্রিপশন ফি ছাড়া ফটোশপের বিকল্প খুঁজছেন তাদের জন্য হতে পারে জিআইএমপি একটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার। সফটওয়্যারটিতে কাস্টম ব্রাশ, উন্নত ফিল্টার এবং শক্তিশালী প্লাগইন ইকোসিস্টেম সমর্থন করে।
ফটোপিয়া (Photopea) : এটি ব্রাউজারভিত্তিক মিরর ফটোসপস ইন্টারফেস যা পিএসডি ফাইল যা-দিয়ে ইনস্টল ছাড়াই কাজ করা যায়। এটি দিয়ে দ্রুত সময়ে এডিটিং করা যায়।
ফটোডিরেক্টর এসেনশিয়াল (PhotoDirector Essential) : ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড মুছে ফেলার জন্য এআই টুল সমৃদ্ধ একটি এডিটিং সফটওয়্যার।সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এটি দিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ডে আকাশ এর অবস্থা প্রতিস্থাপন ও প্রকৃতির বিভিন্ন দৃশ্য প্রতিস্থাপন করা যায়।
ডার্কটেবিল (Darktable) : এটি এমন একটি বিনামূল্যের লাইটরুমের বিকল্প সফটওয়্যার যা-দিয়ে একজন ফটোগ্র্যাফারের স্বপ্ন ‘র’ ছবি এডিটিং করা তা সম্ভব হয়। এতে তার কাজের গুণাগুণ অক্ষত থাকে বিশেষ করে তার ছবির রঙ-এর গুণাগুণ নষ্ট হয় না।
‘র’থেরাপি (RawTherapee) : বিনামূল্যের সফটওয়্যারের মধ্যে এটি একটি অন্যতম সফটওয়্যার। এটির মাধ্যমে দ্রুত গতিতে এডিটিং করা সম্ভব হয়। প্রযুক্তিগত ব্যবহারকারীদের জন্য এটি একটি চমৎকার সফটওয়্যার।
লাইটজোন (LightZone) : যারা এডিটিং এর সময় টোন ও কার্ভ নিয়ে বিভিন্ন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা পছন্দ করেন তাদের জন্য একটি দূর্দান্ত বিনামূল্যের সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যার দিয়ে আলো কম-বেশি বা আলোর ঝলমলে রূপও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
গ্র্যাফিক ডিজাইন
ইনস্কেপ (Inkscape) : ইলাস্ট্রেটরের বিকল্প বিনামূল্যের এই ভেক্টর ডিজাইন সফটওয়্যারটিতে পাথ এডিটিং টুল রয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে- নোট স্কাল্পটিং প্যাটার্ন ফিল-এর মতো বৈশিষ্ট্য যা, লোগো ডিজাইনারদের জন্য, ইউআই শিল্পিদের জন্য দুর্দান্ত।
ক্যানভা (Canva) : এটিও ইনডিজাইনের বিকল্প একটি বিনামূল্যে ব্যবহারযোগ্য সফটওয়্যার হলেওে এটি কোনো লেআউট টুল নয়। ‘ক্যানভা’ ড্র্যাড-এন্ড-ড্রপ ইন্টারফেস, টেমপ্লেটসহ সহযোগি টুলগুলো সোশ্যালমিডিয়া সংশ্লিষ্ট ও্ ছোট আকারের ব্যবসায়ীদের জন্য আদর্শ হতে পারে।
ভিডিও এডিটিং
দাভিঞ্চি রিসলভ (DaVinci Resolve) : বিনামূল্যের প্রিমিয়ার প্রো-এর বিকল্প এই সফটওয়্যারটিতে রয়েছে- ভিডিও এডিটিং, কালার সংশোধন এবং অডিও টুল এর বিশাল প্যাকেজ।
ক্যাপকাট (CapCut) : এই সফটওয়্যারটি সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু এর মোবাইল থেকে ডেস্কটপ অভিজ্ঞতা, সাউন্ড ইফেক্ট ও টাইমলাইন টুল ২০২৫ সালে ক্রিয়েটরদের পছন্দের শীর্ষে নিয়ে এসেছে।
অডিও এডিটিং
অডাসিটি (Audacity) : এখনও বিনামূল্যে, এখনও শক্তিশালী।নয়েস হ্রাস করা, মাল্টি-টাস্ক এডিটিং এবং ভিএসটি প্লাগইন সাপোর্টের কারণে অডাসিটি এখনও পছন্দের অডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর স্থান দখন করে আছে অডিশনের বিকল্প এ সফটওয়্যারটি।
অফিস প্রোডাক্টিভিটি
ফ্রিঅফিস(FreeOffice) : ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়ী উভয় ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মাইক্রোসফট অফিস-এর বিকল্প ব্যবহারযোগ্য একটি সফট্ওয়্যার হলো ‘ফ্রিঅফিস’। ‘ফ্রিঅফিস’ দিয়ে খুব দ্রুত কাজ করা যায়। এতে DOCX/XLSX এর সুবিধাগুলোও রয়েছে।
লিবারঅফিস (LibreOffice) : আরও একটি শক্তিশালী ওপেন সোর্স কমিউনিটির বিকল্প সফটওয়্যার। বিশেষ করে আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদী সফটওয়্যারের স্বাধীনতাকে মূল্যায়ণ করেন তাহলে লিবারঅফিস হতে পারে আপনার পছন্দের সফটওয়্যার
ওয়েভ ডেভেলপমেন্ট
ভিজ্যুয়াল স্টুডিও কোড (Visual Studio Code) : যারা কোডিং করে তাদের পছন্দ ও এক্সটেনশনে ভরপুর। ড্রিম্ওয়েভারের বিকল্প রিয়েল-টাইম সমৃদ্ধ ও ভিএস কোড থাকাতে এটি বিনামূল্যে ডেভেলপমেন্ট টুলের মধ্যে স্বর্ণের মতো।
স্টক ইমেজ এন্ড এআই টুলস
আনস্প্ল্যাশ(Unsplash) : উচ্চ রেজ্যুলেশনের একটি বিশাল লাইব্রেরি, রয়্যালটি ফ্রি ছবি যা, দেখতে বেশ চমৎকার। ছোট কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ছোট প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি একটি বিনামূল্যের অ্যাডোবি স্টকের বিকল্প আদর্শ সফটওয়্যার হতে পারে।
মাইক্রোসফট ডিজাইনার এআই (Microsoft Designer AI) : ওয়েব ভিত্তিক ও ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং সত্যিকার অর্থে সৃজনশীল। এআই জেনারেটর ফিচার থাকা ২০২৫ সালে ডিজাইনারদের কাছে সেরা বিনামূল্যের এডবি ফায়ারফ্লাইয়ের বিকল্প টুলসগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, টেক রাডার