বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে ইন্টারনেট-সেবা চালু করেছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট-সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক।
রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে বুধবার স্টারলিংকের ইন্টারনেট সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। আগামীকালও সবার জন্য এটি উন্মুক্ত থাকবে; অর্থাৎ রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে দুদিন স্টারলিংক বিনা পয়সা বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের ইন্টারনেট-সেবা দিচ্ছে।
মূলত বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) সেখানে স্টারলিংকের ইন্টারনেট-সেবা প্রদর্শন করছে। এর মাধ্যমে সম্মেলনে আসা অতিথি ও দর্শনার্থীরা সরাসরি স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা নিতে পারছেন।
বিএসসিএলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭ এপ্রিল থেকেই তাঁরা স্টারলিংকের ইন্টারনেট চালুর জন্য কাজ করছিলেন৷ আজ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালু হয়েছে। তবে দেশে পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর বিষয়ে সরকার বা স্টারলিংকের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
গত ২৯ মার্চ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) স্টারলিংককে বিনিয়োগ নিবন্ধনের অনুমোদন দেয়। যেখানে প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যক্রম শুরু করার জন্য ৯০ কর্মদিবস সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেট-সেবা দিতে হলে স্টারলিংককে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে এনজিএসও (নন-জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট অর্বিট) নিবন্ধন নিতে হবে। এই নিবন্ধনের জন্য চলতি সপ্তাহে বিটিআরসিতে আবেদন করেছে কোম্পানিটি।
বিনিয়োগ সম্মেলনস্থলের মূল প্রবেশপথের একটি স্থানে বুথ বসিয়ে সবাইকে স্টারলিংকের ইন্টারনেটে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে বিএসসিএল।
বুথে উপস্থিত বিএসসিএলের সহকারী ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিনিয়োগ সম্মেলনে চারটি টার্মিনালের মাধ্যমে পাঁচটি ওয়াই-ফাই সংযুক্ত করে এ ইন্টারনেট-সেবা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি রাউটারের বিপরীতে একই সময়ে ৭০-১০০ জন ব্যবহারকারী ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন।
তৌহিদুল ইসলাম জানান, বিটিআরসির নিয়ম অনুসারে, বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্টারলিংক ইন্টারনেট চালু করতে হলে তার গেটওয়ে স্টেশন স্থাপন করতে হবে। আপাতত মালয়েশিয়ার গেটওয়ে ব্যবহার করে বিনিয়োগ সম্মেলনে ইন্টারনেট-সেবা দেওয়া হচ্ছে।
বিএসসিএলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, আজ বিনিয়োগ সম্মেলনস্থলে স্টারলিংকের ইন্টারনেটে ডাউনলোড গতি ছিল ১০০-১২০ এমবিপিএসের কাছাকাছি। তবে গ্রাহকের চাপ বেশি থাকলে এই গতি কিছুটা কমে যেতে দেখা গেছে।