ব্যবহারকারীর ভবিষ্যতের এআই-সহচর তৈরি করছে মেটা

প্রকাশ: শনিবার, ০২ অগাস্ট, ২০২৫
https://mail.techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png টেকভয়েস২৪  ডেস্ক
https://mail.techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যখন দুনিয়া জুড়ে চলছে এক এআই সবার জন্য ধারণা, তখন ঠিক তার বিপরীত পথে হাঁটছে মেটা। তাদের লক্ষ্য এমন এক এআই তৈরি করা, যা প্রতিটি ব্যক্তিকে আলাদাভাবে চিনবে, বুঝবে এবং তার সঙ্গে একান্তভাবে যুক্ত থাকবে। মেটা এই একান্ত সহায়ক ডিজিটাল মেধার নাম দিয়েছে ‘পারসোনাল সুপারইনটেলিজেন্স’, যা ভবিষ্যতের এআই ব্যবহারে এক বিপ্লব আনতে পারে।

এআই হবে এখন একান্ত ব্যক্তিগত
এক ভিডিও বার্তায় জাকারবার্গ বলেন, “আমরা এমন একটি এআই তৈরি করতে চাই, যা শুধু আপনার প্রশ্নের উত্তর দেবে না, বরং আপনাকে চিনবে, আপনার স্বপ্নগুলো বুঝবে এবং আপনাকে আপনার লক্ষ্য অর্জনে সরাসরি সহায়তা করবে।” অর্থাৎ, আপনি যে কিছু শিখতে চান, বানাতে চান, অনুভব করতে চান বা নিজের যেভাবে বিকাশ ঘটাতে চান, এই এআই আপনার সেই অভিজ্ঞতার অংশ হয়ে উঠবে।

অন্যদের থেকে ভিন্ন পথে মেটা
বর্তমানে বেশির ভাগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান একটি কেন্দ্রীভূত এআই সিস্টেম তৈরির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে, যা সবার জন্য একইভাবে কাজ করে। তবে মেটার দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। তারা মনে করে, প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন ও লক্ষ্য আলাদা। সেই বৈচিত্র্যকে সম্মান জানিয়ে, মেটা তৈরি করতে চায় এমন একটি এআই, যা ব্যবহারকারীর স্বতন্ত্রতা ও লক্ষ্যপূরণের পথকে সহায়তা করবে।

জাকারবার্গ বলেন, “বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য বা সমৃদ্ধি-সব জায়গায় মানুষের ব্যক্তিগত প্রয়াসই সমাজকে এগিয়ে নিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতের সবচেয়ে কার্যকর এআই হবে সেইটি, যেটি আমাদের ব্যক্তিগতভাবে চেনে ও বোঝে।”

এআই-নির্ভর ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে সমাজ
এই পারসোনাল এআই প্রযুক্তি কেবল স্মার্ট নয়, বরং স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের চেয়ে বেশি মানবিকভাবে যুক্ত হবে আমাদের জীবনের সঙ্গে। মেটা বলছে, তারা এমন ডিভাইস তৈরি করছে যা ব্যবহারকারীর সঙ্গে সারাক্ষণ যুক্ত থাকবে এবং আশপাশের পরিবেশ বুঝে কাজ করতে পারবে। এর ফলে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি ব্যবহারও বদলে যাবে। মানুষ তখন সাধারণ অ্যাপ বা সফটওয়্যারের পেছনে সময় না দিয়ে, বেশি সময় ব্যয় করবে সৃজনশীল কাজ ও মানবিক যোগাযোগে। এই পরিবর্তনকে সামনে রেখেই মেটা পারসোনাল সুপারইনটেলিজেন্সের উন্নয়ন করছে।

শুধু সুবিধা নয়, সক্রিয় ব্যবহারকারী হওয়ার লক্ষ্য
মেটা মনে করে, ভবিষ্যতের এআই এমন হবে না যেখানে মানুষ শুধু সুবিধাভোগী। বরং, মানুষ নিজে হবে সহযোগী ও সক্রিয় অংশগ্রহণকারী। সেই জন্যই তারা এআইকে আরও ব্যক্তিগত, প্রসঙ্গভিত্তিক ও দৈনন্দিন জীবনের উপযোগী করে গড়ে তোলার পথে হাঁটছে।

মেটার এই পদক্ষেপ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দুনিয়ায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছে। ‘পারসোনাল সুপারইনটেলিজেন্স’ শুধু প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নয়, বরং এটি মানবিক বোঝাপড়ার জায়গায় এআইকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে পারে। সূত্র: রয়টার্স, টাইমস অব ইন্ডিয়া

image

আপনার মতামত দিন